গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ :
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে মাদক পাচারসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ প্রবনতা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এই উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে এবং সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা আতংক। এই ক্যাম্প গুলোতে খুচরা মাদক বিক্রী থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা সংঘটিত হচ্ছে না। তথ্য অনুসন্ধানে খবর পাওয়া যায়, এক শ্রেনীর অর্থলোভী অসাধু রোহিঙ্গা চক্র স্থানীয় অপরাধী চক্র ও মাদক কারবারীদের সহযোগীতায় অত্র উপজেলায় মানুষ হত্যাসহ ভিবিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত হচ্ছে। অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, টেকনাফ উপজেলার ছিনতাই,চুরী,ডাকাতী,জমি দখল, নারী ধর্ষন, মানুষহত্যাসহ এমন কোন অপরাধ নেই যেখানে রোহিঙ্গা অপরাধী চক্র জড়িত নেই। এই সমস্ত অপরাধীরা মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটা মানুষের জীবন নিতে একটুও চিন্তা করে না। সেই সুত্র ধরে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকার একটি পানির ডোবা থেকে দুইটি মৃতদেহ উদ্ধার করে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। এরমধ্যে একজন স্থানীয় ইউপি সদস্যের আপন ছোট ভাই, তার নাম শামসুল হুদা (৩৩),অপর জন রোহিঙ্গা নাম রহিম উল্লাহ (২২)।
১৩ জুলাই শুক্রবার কয়েকজন কাঠুরীয়া পাহাড়ে লাকড়ী সংগ্রহ করতে গিয়ে পানির ডোবায় ভাসমান অবস্থায় লাশ ২টি দেখতে পায়। এরপর খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) তদন্ত আতিক উল্লাহ,র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশ কয়েকজন ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, হ্নীলা ইউপি ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হুদার ভাই শামসুল হুদার লাশটি গলাকাটা ছিল। আর রোহিঙ্গা যুবক রহিম উল্লাহর (২২) লাশটি ছিল বস্তাবন্দি । এবং রোহিঙ্গা যুবক রহিম উল্লাহ নিহত ইয়াবা ব্যবসায়ী শামসুল হুদার দেহরক্ষী হিসেবে পরিচিত ছিল।

সংঘটিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) রনজিত বড়ুয়া বলেন,স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করতে কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন উদ্ধারকৃত লাশ শামসুল হুদার বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে,ইয়াবা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা আশ্রয় দেওয়া রোহিঙ্গা অপরাধী চক্রের সদস্যরা যে ভাবে দিনের পর দিন মানুষ হত্যাসহ ভিবিন্ন অপরাধ সংঘটিত করছে। স্থানীয়দের দাবী এই সমস্ত রোহিঙ্গা অপরাধী চক্রের সদস্যদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা না হলে। বাড়বে নানা প্রকার অপরাধ ক্ষতিগ্রস্ত হবে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ।